ক্যান্সার (Cancer) এর কারণ এবং চিকিৎসা সমূহ | 2024

ক্যান্সার (Cancer) হলো একটি গুরুতর রোগ যেখানে দেহের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন স্তন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, এবং ত্বকের ক্যান্সার। ক্যান্সারের কারণ হতে পারে জিনগত পরিবর্তন, তামাক, অ্যালকোহল, রেডিয়েশন, সংক্রমণ, এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ। সাধারণত ক্যান্সারের লক্ষণগুলোতে ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, ব্যথা, এবং অস্বাভাবিক গাঁট অন্তর্ভুক্ত। চিকিৎসার মধ্যে সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, এবং ইমিউনোথেরাপি অন্তর্ভুক্ত। সময়মতো নির্ণয় এবং চিকিৎসা ক্যান্সারের নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক্যান্সার (Cancer) হলে মানুষ এর অবস্থা কেমন হয় :

ক্যান্সার হলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হতে পারে। এর তীব্রতা এবং লক্ষণগুলো ক্যান্সারের ধরন, পর্যায় এবং ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। সাধারণত ক্যান্সারের কিছু সাধারণ লক্ষণ এবং অবস্থার মধ্যে নিম্নলিখিতগুলো অন্তর্ভুক্ত:

1. ক্লান্তি: ক্যান্সার (Cancer) এবং এর চিকিৎসা (যেমন কেমোথেরাপি) অত্যন্ত ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

2. ব্যথা: ক্যান্সার (Cancer) আক্রান্ত স্থানে ব্যথা হতে পারে। হাড়ের ক্যান্সার (Cancer) বা টিউমার থাকলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

3. ওজন কমে যাওয়া: ওজন হ্রাস হওয়া ক্যান্সারের একটি সাধারণ লক্ষণ।

4. বমি বা বমি ভাব: কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বমি বা বমি ভাব হতে পারে।

5. ক্ষুধামন্দা: খাদ্যে অরুচি এবং খাবারের স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে।

6. অস্থিরতা ও মানসিক চাপ: ক্যান্সার (Cancer) রোগীরা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং বিষণ্নতার শিকার হতে পারেন।

7. শ্বাসকষ্ট: ফুসফুস বা ব্রঙ্কিয়াল ক্যান্সার (Cancer) হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

8. জ্বর ও সংক্রমণ: ক্যান্সার (Cancer) রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

9. অসুস্থতা ও দুর্বলতা: শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপ সম্পাদনে অসুবিধা হয়।

10. অস্বাভাবিক রক্তপাত বা গাঁট: কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ত্বকের নিচে গাঁট দেখা দেয় বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে।

ক্যান্সার চিকিৎসার ফলে জীবনের গুণগত মানের উপরও ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও মানসিক সমর্থন ক্যান্সার রোগীর অবস্থার উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে।

নিউমোনিয়া (Pneumonia) কেন হয়? আর এর সংক্রমণ কি | 2024

ক্যান্সার (Cancer) হওয়ার কারণ গুলি :

ক্যান্সার (Cancer) হল এক ধরনের রোগ যেখানে দেহের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে এবং বিভাজিত হতে থাকে, যা টিউমার গঠন করতে পারে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কারণ নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে কারণ এটি সাধারণত বিভিন্ন কারণের সম্মিলিত ফলাফল। নিচে ক্যান্সারের কিছু প্রধান কারণ ও ঝুঁকি ফ্যাক্টর আলোচনা করা হল:

১. জেনেটিক ফ্যাক্টর:

জেনেটিক মিউটেশন বা পরিবর্তন ক্যান্সারের প্রধান কারণ। কিছু জেনেটিক মিউটেশন জন্মগত হতে পারে, অর্থাৎ এটি বাবা-মা থেকে সন্তানের মধ্যে সঞ্চারিত হতে পারে। যেমন, BRCA1 এবং BRCA2 জিনের মিউটেশন স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

২. পরিবেশগত ফ্যাক্টর:

পরিবেশগত কারণগুলো ক্যান্সার সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে:

– তামাক: তামাকের ধূমপান বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহার ফুসফুস, মুখ, গলা, গলব্লাডার, এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সারের প্রধান কারণ।

– অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন লিভার, মুখ, গলা, এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

– রাসায়নিক পদার্থ: শিল্প কারখানা, কৃষি, বা বাড়ির আশেপাশের কিছু রাসায়নিক পদার্থ, যেমন অ্যাসবেস্টস, বেনজিন, এবং ভিনাইল ক্লোরাইড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

– রেডিয়েশন: অতিরিক্ত এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, বা পারমাণবিক রেডিয়েশন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. সংক্রামক এজেন্ট:

বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, এবং প্যারাসাইট ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। যেমন:

– হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV): এই ভাইরাসটি জরায়ু, অ্যানাল, এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

– হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস: এই ভাইরাসগুলো লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

– এইচআইভি (HIV): এই ভাইরাসটি ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪. খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা:

খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারার কিছু অভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন:

– অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: উচ্চ চর্বি, প্রসেসড মিট, এবং অল্প পরিমাণে ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

– শারীরিক কার্যকলাপের অভাব: শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, স্থূলতা, এবং অতিরিক্ত ওজন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

– সূর্যালোকের অতিরিক্ত এক্সপোজার: অতিরিক্ত সূর্যালোকের এক্সপোজার ত্বকের ক্যান্সার (যেমন মেলানোমা) সৃষ্টি করতে পারে।

৫. হরমোনাল ফ্যাক্টর:

কিছু হরমোন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন:

– ইস্ট্রোজেন: অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

– হরমোন থেরাপি: কিছু হরমোন থেরাপি, যেমন মেনোপজের পর নেওয়া হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT), ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৬. ইমিউন সিস্টেম দুর্বলতা:

দুর্বল ইমিউন সিস্টেম ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন:

– ইমিউনোসপ্রেসিভ থেরাপি: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নেওয়া ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

– এইচআইভি (HIV): এই ভাইরাসটি ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৭. বয়স:

বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এটি প্রধানত জেনেটিক মিউটেশনের কারণে হয় যা সময়ের সাথে জমা হয়।

৮. পারিবারিক ইতিহাস:

ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে, অর্থাৎ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্যান্সার থাকলে, ঝুঁকি বেশি হয়। জেনেটিক পরিবর্তন এবং সাধারণ জীবনধারার অভ্যাস এই ঝুঁকির জন্য দায়ী হতে পারে।

৯. স্বাস্থ্যসেবা ও স্ক্রিনিং এর অভাব:

সঠিক সময়ে স্ক্রিনিং ও চিকিৎসার অভাবে ক্যান্সার সঠিক সময়ে নির্ণয় হয় না, ফলে এটি বাড়তে থাকে এবং অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

১০. মনস্তাত্ত্বিক এবং মানসিক ফ্যাক্টর:

যদিও এটি সরাসরি প্রমাণিত নয়, দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করতে পারে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

উপরোক্ত কারণগুলো ছাড়াও, ক্যান্সার সৃষ্টিতে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা এবং প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

ক্যান্সার (Cancer) এর চিকিৎসা কি সম্ভব ?

ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব, তবে এটি ক্যান্সারের ধরন, পর্যায়, এবং রোগীর স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হলো টিউমারকে সরিয়ে ফেলা, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা, এবং ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি রোধ করা। নিচে ক্যান্সারের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:

১. সার্জারি:

সার্জারি ক্যান্সার টিউমার সরিয়ে ফেলার একটি প্রচলিত পদ্ধতি। সাধারণত, সার্জারি ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়, যখন টিউমারটি নির্দিষ্ট একটি স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে। সার্জারি টিউমারের আশেপাশের কিছু সুস্থ টিস্যু সহ টিউমারকে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলে।

২. কেমোথেরাপি:

কেমোথেরাপি এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে শক্তিশালী ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ট্যাবলেট, ইনজেকশন, বা ইনফিউশন আকারে দেওয়া হয়। কেমোথেরাপি ক্যান্সার কোষের দ্রুত বিভাজন রোধ করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে।

৩. রেডিয়েশন থেরাপি:

রেডিয়েশন থেরাপিতে উচ্চ শক্তির রশ্মি ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়। এই থেরাপি ক্যান্সারের নির্দিষ্ট স্থানে ব্যবহৃত হয় এবং টিউমারের আকার কমাতে সহায়ক। এটি সাধারণত এক্সটার্নাল বিম থেরাপি (বাহ্যিক) এবং ব্র্যাকি থেরাপি (অভ্যন্তরীণ) হিসেবে দুইভাবে দেওয়া হতে পারে।

৪. ইমিউনোথেরাপি:

ইমিউনোথেরাপি এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে রোগীর নিজস্ব ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। ইমিউনোথেরাপির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে চেকপয়েন্ট ইনহিবিটার, কার-টি সেল থেরাপি, এবং ভ্যাকসিন থেরাপি।

৫. টার্গেটেড থেরাপি:

টার্গেটেড থেরাপি ক্যান্সার কোষের নির্দিষ্ট মলিকিউলার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। এই থেরাপি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন রোধ করে এবং সাধারণত কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। টার্গেটেড থেরাপির উদাহরণ হল টাইকসিন কাইনিজ ইনহিবিটারস এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি।

৬. হরমোন থেরাপি:

হরমোন থেরাপি ক্যান্সারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে স্তন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। এই থেরাপি শরীরে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বা ক্যান্সার কোষের হরমোন রিসেপ্টরের কার্যকারিতা ব্লক করে।

৭. স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট:

স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট, যাকে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টও বলা হয়, রক্তের ক্যান্সার যেমন লিউকেমিয়া এবং লিম্ফোমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়ায়, রোগীর নিজস্ব বা ডোনারের স্বাস্থ্যকর স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়।

৮. কম্বিনেশন থেরাপি:

কম্বিনেশন থেরাপি বলতে একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি একসাথে ব্যবহার করাকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি একসাথে দেওয়া যেতে পারে, বা সার্জারির আগে বা পরে কেমোথেরাপি দেওয়া যেতে পারে।

৯. পালিয়েটিভ কেয়ার:

পালিয়েটিভ কেয়ার মূলত ক্যান্সারের লক্ষণ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রোগীর জীবন মান উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ক্যান্সারের চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যবহৃত হয় এবং রোগীকে আরাম দেওয়া এর প্রধান লক্ষ্য।

১০. প্রাকৃতিক ও সম্পূরক চিকিৎসা:

কিছু রোগী প্রাকৃতিক এবং সম্পূরক চিকিৎসার দিকে ঝোঁকে, যেমন হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, আকুপাংচার, এবং হারবাল থেরাপি। তবে, এই ধরনের চিকিৎসা গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি জটিল এবং বহুমুখী প্রক্রিয়া, যা রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থা, ক্যান্সারের ধরন এবং পর্যায় অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। সঠিক এবং সময়মতো চিকিৎসা ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসক এবং রোগীর মধ্যে সমন্বয় এবং যোগাযোগ চিকিৎসার ফলাফলকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button