
Constipation হলে কি করনীয় সহজ তথ্যে | 2024
“Constipation” হলো এমন অবস্থা যাতে ব্যক্তির পেটের নির্গমন অত্যন্ত দেরি হয় এবং পেট খারাপ অনুভব করে। এটি সাধারণত পানিপাত্র অথবা পেটে খাবারের বহুতলির বাদামি বা থোঁথোঁড়া সমস্যার ফলাফল হতে পারে। অনেক সময় এটি অন্যান্য সমস্যার লক্ষণ হিসাবে দেখা যায়, যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েইড অস্ত্রাণ্ততা বা আভাসিত শক্তিহীনতা।
Constipation হলে মানুষ এর কেমন লাগে :
Constipation হলে মানুষকে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নিচে এর কিছু সাধারণ লক্ষণ ও অনুভূতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
শারীরিক অনুভূতি
1. পেট ব্যথা এবং অস্বস্তি: কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেটে ফাঁপা বা ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। মল জমে থাকার কারণে পেট ফুলে যায় এবং এতে অস্বস্তি হয়।
2. মলত্যাগে কষ্ট: মল শক্ত এবং শুষ্ক হওয়ায় মলত্যাগ করতে কষ্ট হয়। এটি করতে অনেক সময় ও প্রচেষ্টা লাগে, যা কষ্টকর হতে পারে।
3. মলত্যাগের পরও অসম্পূর্ণতা অনুভব: অনেক সময় মলত্যাগের পরও মনে হয় যে পেট পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি, যা একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি।
4. বমি বমি ভাব এবং খাওয়ায় অনীহা: পেটে ফাঁপা এবং অস্বস্তির কারণে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যেতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
মানসিক অনুভূতি
1. উদ্বেগ এবং হতাশা: দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য উদ্বেগ ও হতাশার কারণ হতে পারে। এটি একটি চক্রের সৃষ্টি করতে পারে যেখানে মানসিক চাপ Constipation বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মানসিক চাপ বাড়ায়।
2. কর্মক্ষমতা হ্রাস: Constipation এর কারণে দৈনন্দিন কাজকর্মে মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
3. অস্বস্তি ও লজ্জা: মলত্যাগের সমস্যার কারণে সামাজিক পরিস্থিতিতে অস্বস্তি ও লজ্জার অনুভূতি হতে পারে। বিশেষ করে যদি মলত্যাগের জন্য দীর্ঘ সময় বাথরুমে কাটাতে হয়।
দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা
দীর্ঘমেয়াদী Constipation কিছু গুরুতর শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন:
1. হেমোরয়েড (গেজেবোলি): দীর্ঘ সময় ধরে মলত্যাগের প্রচেষ্টা হেমোরয়েড সৃষ্টি করতে পারে, যা বেদনাদায়ক এবং অস্বস্তিকর।
2. অ্যানাল ফিসার: শক্ত মল পাস করতে গিয়ে অ্যানাল ফিসার (মলদ্বারে ফাটল) হতে পারে, যা খুবই বেদনাদায়ক।
3. মল আবদ্ধতা: দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য মল আবদ্ধতা সৃষ্টি করতে পারে, যা চিকিৎসা না করালে গুরুতর হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবেলার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে। প্রচুর পানি পান করা, আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং প্রোবায়োটিক খাবার গ্রহণ করা এসব পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদী বা গুরুতর কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য অস্বস্তিকর হলেও সাধারণত এটি সাময়িক সমস্যা। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
constipation ঠিক করার উপায় :
কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) এমন একটি সমস্যা যা অনেকেই জীবনে কোনো না কোনো সময়ে সম্মুখীন হন। এটি সাধারণত তেমন গুরুতর নয়, তবে এটি অস্বস্তিকর ও কষ্টকর হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য ঠিক করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যা আপনার জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই সমাধান করা যায়।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা। নিচে কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হলো:
1. আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। আঁশযুক্ত খাবারগুলো হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং মল নরম রাখতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, ফল (বিশেষ করে আপেল, নাশপাতি, বেদানা), সবজি (ব্রকোলি, গাজর, পালং শাক), এবং পূর্ণ শস্য (ওটমিল, বাদামী চাল)।
2. পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি: পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এছাড়া ফলের রস, স্যুপ এবং অন্যান্য তরল খাবারও গ্রহণ করতে পারেন।
3. প্রোবায়োটিক খাবার: দই, কেফির এবং অন্যান্য প্রোবায়োটিক খাবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে। প্রোবায়োটিক খাবারগুলোতে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
জীবনধারায় পরিবর্তন
কিছু জীবনধারাগত পরিবর্তন কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক হতে পারে:
1. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগ ব্যায়াম ইত্যাদি অন্ত্রের কার্যকলাপ বাড়াতে সহায়ক।
2. নিয়মিত সময়ে বাথরুম যাওয়া: প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে বাথরুম যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিশেষ করে সকালের সময় এটি করার চেষ্টা করুন। মলত্যাগের প্রয়োজন অনুভব করলে দেরি করবেন না।
3. স্ট্রেস কমানো: অতিরিক্ত মানসিক চাপ কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে। স্ট্রেস কমানোর জন্য যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ইত্যাদি করতে পারেন।
ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা
যদি খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তন সত্ত্বেও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি না পান, তাহলে কিছু ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন:
1. আঁশযুক্ত সাপ্লিমেন্ট: পাউডার, ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট আকারে আঁশযুক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এগুলো মল নরম করতে সাহায্য করে।
2. ল্যাক্সেটিভস: কিছু ওষুধ মল নরম করতে সাহায্য করে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে এদের ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এটি অন্ত্রের প্রাকৃতিক কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
3. এনিমা: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এনিমা ব্যবহার করতে পারেন। এটি মলত্যাগের প্রক্রিয়া সহজ করতে সাহায্য করে।
4. চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি উপরের কোনো পদ্ধতিই কার্যকর না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার সমস্যার গভীরতা বুঝে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারবেন।
প্রাকৃতিক উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও অনুসরণ করতে পারেন:
1. গরম পানি: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি পান করুন। এটি অন্ত্রের কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
2. লেবু পানি: এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে।
3. মধু: প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেতে পারেন। মধু হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
4. ফল এবং শাকসবজি: পেঁপে, আম, নাশপাতি, এবং শাকসবজি বেশি করে খান। এগুলো প্রাকৃতিক আঁশ সমৃদ্ধ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
Constipation একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি মোকাবেলার জন্য সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারায় পরিবর্তন এনে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।